বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চে বিস্ফোরক তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি,জেলাএ রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোড়ন!
"নেতাদের তেল মেরে আর বুথ সভাপতি, অঞ্চল সভাপতির পদ থাকবে না। পদ রাখতে হলে মজবুত সংগঠন গড়তে হবে। ভাইফোটার পর বুথে,বুথে অঞ্চলে,অঞ্চলে সাংগঠনিক শক্তির জরিপ হবে। তাতে উত্তীর্ণ না হতে পারলেই পদ যাবে৷"- তারাশঙ্কর রায়,তৃণমূল বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : জেলা সভাপতির ওপর কাওকে ছড়ি ঘোরাতে দেব না,সর্ষের মধ্যেই ভূত! তাই শালতোড়ায় হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। নেতাদের তেল মেরে আর কোন বুথ সভাপতি, অঞ্চল সভাপতির পদ থাকবে না। পদ রাখতে হলে মজবুত সংগঠন গড়তে হবে। ভাইফোটার পর বুথে,বুথে অঞ্চলে,অঞ্চলে সাংগঠনিক শক্তির জরিপ হবে। তাতে উত্তীর্ণ না হতে পারলেই পদ যাবে৷ শালতোড়া বিধানসভার গঙ্গাজলঘাটিতে দলের বিজয়া,সম্মেলন মঞ্চ থেকে এমনই বিস্ফোরক বক্তব্য রাখেন তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তারাশঙ্কর রায়। তিনি বলেন,তৃণমূলের মিছিলে হাঁটছেন,অথচ ভোট দিচ্ছেন বিজেপিকে। আপনাদের লজ্জা থাকা দরকার। তাঁর সাফ কথা রাজনৈতিক নেতাদের তেল মারবো আর দলকে হারাবো, এটা হতে দেবোনা।
মঞ্চের বিস্ফোরক বক্তব্য প্রসঙ্গে পরে তারাশঙ্কর বাবুকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি বলেন,সাননেই বিধানসভা ভোট। তাই দলের সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। দলের স্বার্থে তিনি কাওকে যে রেওয়াত করবেন না তাও এদিন কার্যত স্পষ্ট করে দেন এদিন। এদিকে,স্থানীয় বিজেপি নেতারা দাবী করছেন আসছে বিধানসভা ভোটেও শালতোড়ায় জয়ী হবে বিজেপি। বিজেপির স্থানীয় নেতা প্রদীপ্তবহ্নি ঘোষ বলেন,তৃণমূলের গোষ্ঠী কোঁদল থাক বা না থাক তাতে কিছু যায়, আসে না। এই আসনে ২৬ এর বিধানসভা ভোটেও বিপুল ভোটে জয়ী হবে বিজেপি। প্রসঙ্গত,বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের বুথ ও অঞ্চল ভিত্তিক সাংগঠনিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি,দলে নিজের অনুগামী বলয় গড়ে তুলতেই তারাশঙ্কর বাবু এমন রণকৌশল নিয়েছেন।
বাঁকুড়া জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশ এমনটাই মনে করছেন। এখন দেখার ভোটের আগে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের হাল কতখানি ফেরাতে পারেন তারাশঙ্কর বাবু? তার ওপরই নির্ভর করছে জেলার বিশানসভার ফলাফল।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇