তাপপ্রবাহের জের, অবশেষে শুক্র ও শনি এই দুই দিন দক্ষিনবঙ্গের সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা শিক্ষা দপ্তরের।

তাপ প্রবাহের জেরে রাজ্যের পার্বত্য জেলাগুলি ব্যতীত অন্য সমস্ত জেলার সরকার এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে চলতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকবে। বিজ্ঞপ্তি জারি শিক্ষা দপ্তরের।;

Update: 2025-06-12 09:06 GMT

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল থেকে গরমের জেরে পড়ুয়াদের অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছিল কয়েক দিন ধরেই। তার ওপর এবার প্রাথমিক স্কুল গুলিতে মর্নিং স্কুল চালু না হওয়ায় ক্ষুদে পড়ুয়াদের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ঘটনা বাড়তে থাকে৷ বাঁকুড়া জেলার শালতোড়ার পাটাদোহা,মুরলু বাঁকুড়ার শ্যামদাসপুর, কেঞ্জাকুড়া হাই স্কুল সংলগ্ন প্রাথমিক স্কুল সহ বেশ কয়েকটি স্কুলে পড়ুয়াদের গরমের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্কুলের শিক্ষক,শিক্ষিকা ও অবিভাবক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।এবং অন্যান্য বছরের মতো গরমের মরশুম জুড়ে প্রাথমিক স্কুল গুলিতে মর্নিং স্কুলের দাবী ওঠে৷ এদিকে,এই আবহেই অবশেষে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর পাহাড় ছাড়া রাজ্যের বাকি অঞ্চলের সমস্ত স্কুলে আগামী শুক্র ও শনি এই দুই দিন ছুটির নির্দেশ দিয়েছে।

 প্রসঙ্গত,ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে, বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই ছুটির বিষয়টি জানান। তিনি পোস্টটিতে উল্লেখ্য করেন রাজ্যের পার্বত্য জেলাগুলি ব্যতীত অন্য সমস্ত জেলার সরকার এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে চলতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকবে। ওই দু’দিন রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠনের কাজ হবে না। তাপপ্রবাহের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বোর্ড ও সংসদ কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেন তাঁর এই পোস্টের মাধ্যমে। তবে শিক্ষকদের ওই দু’দিন স্কুলে যেতে হবে কি না, তা স্পষ্ট করে বলা নেই। ফলে এ নিয়েও নানা জল্পনা চলছে পড়ুয়া,অবিভাবক মহল জুড়ে।

রাজ্যের  শিক্ষা দপ্তর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই ছুটির কথা জানিয়ে দিয়েছে। এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হলে সেক্ষেত্রে গরমের ছুটি আরও বাড়ানো কথা বিবেচনা করবে শিক্ষা দপ্তর। এমনটাও মনে করা হচ্ছে।এদিকে,বাঁকুড়ায় অন্যান্য বছর এই সময় জেলার সব প্রার্মিকে মর্নিং স্কুল হলেও এবার এই মর্নিং স্কুল নিয়ে বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি শ্যমল সাঁতরা জারি করা অর্ডার বাতিল করে দেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। এর পর জেলার সব প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। আর ভর্তি দুপুরে ককচিকাঁচাদের পঠন পাঠন চলায় দিন,দিন পড়ুয়াদের গরমে অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে। এই দুই দিনের ছুটিতে পড়ুয়াদের ক্ষনিকের স্বস্তি মিললেও তা স্থায়ী সমাধান নয়। এই অবস্থায় ফের গরমের মরসুমে মর্নিং স্কুল চালুর দাবি ফের জোরালো হচ্ছে।

 এখন দেখার দাবদাহ এড়াতে স্কুলের পঠন পাঠন ফের মর্নিংয়ে চালু হয় না আরও একদফা গ্রীষ্মের ছুটি বাড়ানোর পথে হাঁটে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর?





Tags:    

Similar News