দ্বারকেশ্বরের ভাঙনের কবলে ৫০০ বিঘা চাষের জমি,তলিয়ে যাচ্ছে সেচ দপ্তরের আরএলআই প্রকল্পও,আতঙ্কে চড়ুইকুঁড়।

এখানে ভয়াল দ্বারকেশ্বর নদ! গ্রাস করে চলেছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে প্রায় ৫০০ বিঘারও বেশী জমি ধসের কবলে। সেচ দপ্তরের আরএলআই তলিয়ে যেতে বসেছে নদী গর্ভে। ওন্দা ব্লকের চড়ুইকুঁড়,নবজীবনপুর গ্রামের মানুষ বছরের পর বছর প্রশাসনের কাছে দরবার করলেও সমস্যা মেটেনি। তাই আতঙ্কেই প্রহর কাটছে তাদের।

Update: 2020-09-20 14:40 GMT

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : ফি বছর দ্বারকেশ্বরের জলের তোড়ে ঝুপঝাপ শব্দে ভাঙ্গছে নদীর পাড়। এখন সেই ভাঙ্গন পাড় ছাড়িয়ে চাষের জমিতে আছড়ে পড়ছে। ইতিমধ্যেই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে প্রায় ৫০০ বিঘারও বেশী জমিতে শিকেয় উঠেছে চাষবাস। ফলে বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের চড়ুইকুঁড় এবং নবজীবনপুর গ্রামের বাসিন্দাদের ভাঙ্গনের আতঙ্কেই দিন কাটছে। গ্রামবাসীদের দাবী,এই সমস্যা টানা কয়েকবছর ধরে চলে আসছে। ফি বছর বর্ষার সময় এই সমস্যার কথা ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে জানানো রুটিন হয়ে দাঁড়ালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এমনকি ভাঙ্গনের গ্রাসে সেচ দপ্তরের একটি আরএলআই প্রকল্প শেষ হতে চলেও সরকারি স্তরে কোন হেলদোল নেই। পাশাপাশি নবজীবনপুরে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের জল প্রকল্পের প্রাচীর ভেঙ্গে গেছে গত বছর। এবার প্রকল্পের ঘরও নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা৷ প্রশাসনিক উদাসীনতায় কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরী প্রকল্প ও সেচ প্রকল্প নষ্ট হতে বসেছে। তাই গ্রামের মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন।

ওন্দা ২ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চড়ুইকুঁড় এবং এই গ্রাম লাগোয়া নবজীবনপুর গ্রামে এই ভাঙ্গনের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। চড়ুইকুঁড়ের সাথে নদীর পাড়ের দূরত্ব মেরেকেটে ৫০-৬০ ফুটের বেশী নয়। আর ওন্দা যাবার মুল গ্রামীণ সড়কের দুরত্ব ৩০ ফুটের মধ্যে। ফলে যে ভাবে ভাঙ্গন এগিয়ে আসছে তাতে করে পরে,পরে গ্রাম এবং গ্রামীণ সড়কেরও ক্ষতি হবে। এই অবস্থায় নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ না শুরু হলে সমস্যা ঠেকানো যাবে না বলেই মনে করছেন এই দুই গ্রামের বাসিন্দারা।

এখন দেখার আদৌ প্রশাসনিক স্তরে এই ভাঙ্গন ঠেকাতে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় কিনা? না হলে ফের এই ভাঙ্গনকে সাথে নিয়েই বাস করতে হবে চড়ুইকুঁড় ও নবজীবনপুরের বাসিন্দাদের।

দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇

Full View


Tags:    

Similar News