"মল্লের.. রা"- সন্ধিক্ষণে কামানের তোপধ্বনিতে মুখরিত মল্লভূম,মল্লরাজবাড়ীর পুজোয় মানুষের ঢল।দেখুন তোপধ্বনির অসাধারণ ভিডিও।
বিষ্ণুপুরে মল্ল রাজবাড়ীর পুজোয় কামানের তোপ ধ্বনিতেই এই সন্ধিক্ষণ নির্নয়ের প্রথা চলে আসছে প্রায় এক হাজার উনত্রিশ বছর ধরে। মল্লরাজাদের এই কামানের তোপধ্বনি মল্লের রা নামে পরিচিত।এক সময় এই কামানের শব্দ শুনে সারা মল্লভূম জুড়ে নির্ধারিত হত সধিক্ষন।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : মহা অষ্টমী এবং মহা নবমীর সন্ধিক্ষণেই দেবী দুর্গা আবির্ভূতা হন দেবী চামুন্ডা রূপে। এই সন্ধিক্ষণ আসলে মহা অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট এবং মহা নবমীর প্রথম ২৪ মিনিটের সময়কাল। বিষ্ণুপুরে মল্ল রাজবাড়ীর পুজোয় কামানের তোপ ধ্বনিতেই এই সন্ধিক্ষণ নির্নয়ের প্রথা চলে আসছে প্রায় এক হাজার উনত্রিশ বছর ধরে। মল্লরাজাদের এই কামানের তোপধ্বনি মল্লের রা নামে পরিচিত।এক সময় এই কামানের শব্দ শুনে সারা মল্লভূম জুড়ে নির্ধারিত হত সধিক্ষন। তবে, তখন কামানের আকার ছিল প্রকান্ড। এখন কামানের তোপ ধ্বনির রীতি চালু থাকলেও কামানের আকার ছোটচ।খানিক প্রতীকী বলা চলে। তবুও এই ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে এদিন মহা অষ্টমীতে মুর্চার পাহাড়ে কামানের তোপ দেগে সুচিত হল সন্ধিক্ষণ।মল্লরাজ পরিবারের কূলদেবতা,দেবী মৃন্ময়ীর আরাধনায় মাতোয়ারা সারা মল্লভূম।
দেবীর মহাঅষ্টমীর সন্ধি পুজো দেখতে এদিন প্রচুর পুন্যার্থীর ভীড় জমান মন্দির প্রাঙ্গণে। এবং মুর্চা পাহাড়ের ধারে মানুষের ভীড় ছিল উপচে পড়া।: বিষ্ণুপুরের বাসিন্দাদের পাশাপাশি ছিল পর্যটকদের ভিড়ও। এই সন্ধিপুজোয় উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। তিনি বলেন মহা অষ্টমীর এই তোপধ্বনি বিষ্ণুপুর বাসীদের পরম্পরা ও ঐতিহ্য। এর সাথে প্রতিটি মল্লভূমবাসীর আবেগ জড়িয়ে আছে।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇