ওন্দায় সারদা ফার্টিলাইজার কারখানায় প্রোমোটিং রুখতে আন্দোলন তৃণমূলের, আগেই এই ইস্যুতে সরব হন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ,শিল্পের জমিতে শিল্প হোক একই সুর তৃণমূল ও বিজেপির গলায়।

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : এক সময় রমরমিয়ে চলত ওন্দার সার কারখানা। এই সারদা ফার্টিলাইজারের সার বাংলাদেশ সহ সাউথ এশিয়ার কয়েকটি দেশে রপ্তানিও হত৷ দেশের বাজারেও ভালো চাহিদা ছিল এই ব্রান্ডের সারের।কিন্তু ধীরে,ধীরে বাজার পড়তে থাকে,শ্রমিক ছাটাই,শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে মালিক পক্ষ শেষে ১৯৯০ -৯১ সালে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে কারখানার মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তারা জেসিবি দিয়ে জমি ড্রেসিং করিয়ে তা প্লট করে বিক্রির ছক কষেছেন। তা নিয়ে প্রথম সোস্যাল মিডিয়াতে সরব হন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার ওন্দার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উত্তম কুমার বিটের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। জেসিবি হটিয়েও দেন তারা।

শিল্পের জমিতে শিল্প হোক এই দাবি তুলে এখন এই জমিতে প্রমোটারি ঠেকাতে একই সুরে সরব বিজেপি ও তৃণমূল। এবং তাতে সমর্থন যোগাচ্ছেন এই কারখানার জমিদাতারাও। ওন্দার দেশবাঁধে এই সার কারখানা দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় কারখানার যন্ত্রপাতি,মেশিন পত্র সব চুরি হয়ে যায়। সীমানা প্রাচীর ও কার্যত মাটিতে মিশে গিয়েছে। ৬০ নাম্বার জাতীয় সড়কের পাশেই কারখানার প্রায় সাড়ে তিনশো বিঘা জমি রয়েছে। এই জমি বাম আমলে শিল্প করার স্বার্থে এবং কর্মসংস্থান হবার আশায় কারখানা লাগোয়া খামার বেড়িয়ায়া,দেশবাঁধ, পুঞ্চা সহ প্রায় ১০ টি গ্রামের মানুষ কারখানার মালিক পক্ষের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কারখানা চালু হওয়ার পর এই সব গ্রামের কয়েকশো মানুষ কাজও পান সার খারখানায়। কিন্তু সে সবই এখন অতীত।

অভিযোগ, এই কারখানার কোটি,কোটি টাকা মুল্যের জমিতে প্রমোটিংয়ের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তাই, জমিদাতারাও চাইছেন প্রমোটিং বন্ধ হোক। শিল্পের জমি ব্যবহার করা হোক শিল্পেই। শিল্পের জমিতে শিল্প হোক এই দাবিতে সার কারখানার জমিতে প্রমোটিং রুখতে এক যোগে কোমর বেঁধেছে বিজেপি ও তৃণমূল। তাই আশায় বুক বাঁধছেন জমি দাতারাও। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত এখানে শিল্প ফিরিয়ে আনা যায় কিনা?

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇