স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আঁতাত করে জয়পুরে বালি মাফিয়াদের জয়জয়কার! সভাধিপতির কাছে কার্যত ঢোক গিলতে,গিলতে কবুল স্থানীয় আধিকারিকদের।

মঙ্গলবার খোদ বাঁকুড়া জিলা পরিষদের সভাধিপতি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওভারলোডেট বালি বোঝাই লরি চিহ্নিত করেন।এবং এই লরির দৌরাত্ম্যে রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ায় তিনি ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেন নি।স্থানীয় বিএলআরও এবং ওসিকে তলবও করেন তিনি।;

Update: 2025-07-30 12:37 GMT

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : ভরা বর্ষায় বালির দাম আকাশছোঁয়া। আর এই সময় লাগামহীন মুনাফা লুঠতে,আইন কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, বালির লরিতে ওভারলোডিংয়ের হিড়িক পড়ে গিয়েছে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের রাউৎখন্ড এলাকায়। তার ফলে, রাস্তার একেবারে দফারফা। বালি বোঝাই লরির দৌরাত্মে স্কুল পড়ুয়া থেকে রোগীর এম্বুলেন্সের যাতায়াতে ব্যাঘাত ঘটছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বারে,বারে বিএলআরও অফিস এবং থানায় জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অভিযোগ, বালি মাফিয়াদের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের আঁতাতেই জয়পুরে বালি মাফিয়াদের জয়জয়কার৷ মঙ্গলবার খোদ বাঁকুড়া জিলা পরিষদের সভাধিপতি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওভারলোডেট বালি বোঝাই লরি চিহ্নিত করেন।এবং এই লরির দৌরাত্ম্যে রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ায় তিনি ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেন নি।

 স্থানীয় বিএলআরও এবং ওসিকে তলব করেন। তবে, কার্যত বিএলআরও স্বীকার করে নেন যে লোকাল প্রশাসনের মদতেই এসব হচ্ছে। জিলা বা রাজ্য নয়, এখানের লোকাল প্রাশনই শেষকথা! তা তিনি হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন সভাধিপতিকে। অবশেষে,এই লোকাল প্রাশাসনের সাথে আলোচনায় বসেই এখানকার কুম্ভস্থল থেকে হেতিয়া পর্যন্ত রাস্তার হাল ফেরানোর পাশাপাশি, রাস্তা বাঁচাতে ওভার লোডিং বালি বোঝাই লরির চলাচলে রাশ টানতে চান সভাধিপতি অনুসূয়া রায়। তিনি বলেন, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভুমের প্রশাসনিক সভা থেকে কড়া বার্তা দিয়েছেন,যে গ্রামীণ এলাকায় ওভারলোডিং গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে হবে৷ তার পরেই এদিন সক্রিয়তা নজরে পড়ে সভাধিপতির। এবং এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও  শুরু হয়ে গিয়েছে।

 প্রসঙ্গত, এখানে বালির স্টক পয়েন্ট থেকে প্রায় আড়াই কিমি দূরে বালির গাড়ির ওজন হয়। আর এই রাস্তা দিয়েই ওভারলোডিং লরি চলাচল করে। পাশাপাশি, ওজন মেশিনে কারচুপি করে অতিরিক্ত বালি খালি করে তা,বিনা চালানে বিক্রির চক্রও গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। আর এর জেরে ভুগছেন গ্রামের আম জনতা। এদিকে,বিজেপি সভাধিপতির এই সক্রিয়তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি।বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজিত আগস্থি এই ইস্যুতে, সরাসরি তোপ দেগেছেন সভাধিপতির বিরুদ্ধে।এখন দেখার শেষ পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন এবং বালি কারবারিদের মধ্যে আঁতাত ভেঙ্গে এখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় কিনা? সেদিকেই নজর রইল সবার।তা,বলাই বাহুল্য।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇

Full View


Tags:    

Similar News