এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে সিইও-কে কড়া চিঠি ডব্লিউবিসিএস অ্যাসোসিয়েশনের, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদে অনিয়মের অভিযোগ।

ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ,সংশ্লিষ্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO)-দের অগ্রাহ্য করে এবং কোনো ধরনের শুনানি বা পরামর্শ ছাড়াই নির্বিচারে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার প্রতিবাদেই তারা সরব হয়েছেন।

Update: 2025-12-25 10:52 GMT

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : চলমান স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়া পরিচালনা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO), পশ্চিমবঙ্গ-কে চিঠি দিল ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO)-দের অগ্রাহ্য করে এবং কোনো ধরনের শুনানি বা পরামর্শ ছাড়াই নির্বিচারে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, যা জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (Representation of the People Act, 1950) লঙ্ঘনের সামিল। চিঠিতে জানানো হয়েছে, 'খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের দিনই লক্ষ্য করা যায়—বিপুল সংখ্যক ভোটারের নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে মৃত্যুর প্রমাণ, স্থায়ী স্থানান্তর বা দ্বৈত নথিভুক্তির মতো বিষয় স্পষ্টভাবে যাচাই হওয়ার কথা।

কিন্তু, সেসব ক্ষেত্রেও এনুমারেশন ফর্ম ফেরত না আসার অজুহাতে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে' - এমন গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে সংগঠনের তরফে।ডব্লিউবিসিএস অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী কোনো ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শুনানির সুযোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক এবং পুরো প্রক্রিয়ায় ইআরও-দের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু বর্তমান ব্যবস্থায় নাকি সিস্টেম-ড্রিভেন পদ্ধতিতে গণহারে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, যেখানে ইআরও-দের কার্যত বাইরে রাখা হচ্ছে। সংগঠনের আশঙ্কা, এর ফলে একদিকে যোগ্য ভোটাররা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ বিষয়টির দায় ইআরও-দের উপর চাপালেও বাস্তবে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগই পাচ্ছেন না। এবং এর ফলে বিড়ম্বনায় পড়ছেন ইআরওরা। 


চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের পদক্ষেপ কার্যত ন্যায়বিচারের নীতির পরিপন্থী।এই পরিস্থিতিতে ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে আবেদন জানিয়েছে—যাতে অবিলম্বে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হয় এবং ইআরও-রা তাদের আইনগত দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। কারণ, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত হবে এবং তার স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এ বিষয়টি ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার কাছেও অবগতির জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।





Tags:    

Similar News