সংহিতার হাত ধরেই ভরতপুরে প্রাচীন পট শিল্পকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে প্রমীলা বাহিনী।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : শুশুনিয়ার ভরতপুরের প্রাচীন পট শিল্প কে অবলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে এবার গ্রামের পটুয়া পল্লীর বৌ ও মেয়েদের পট তৈরীর পাঠ দিচ্ছেন আর এক মহিলা। পেশায় কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইনার সংহিতা মিত্র। কলকাতার চাকরী ছেড়ে,বাঁকুড়া জেলায় ফিরে এসে এই পট শিল্পে মহিলাদের যুক্ত করার কাজে লেগে পড়েছেন তিনি। রোজ ভরতপুরে গিয়ে মহিলাদের পট আঁকার তালিম দেওয়ার পাশাপাশি, এই শিল্পের আধুনিকরন এবং ব্যবহার উপযোগী হিসেবে পট শিল্পে নুতন আঙ্গিক জোড়ার কাজও করছেন সংহিতা মিত্র। এক সময় আদিবাসীদের জন্ম বৃতান্ত পটে ফুটিয়ে তুলেই এখানকার পটুয়ারা রুজিরোজগার চালাত। এখন এই কাজে পরিবারের পুরুষরা আগ্রহ হারাচ্ছেন দিনদিন রোজগার কমে যাওয়ার কারণে। আর,নুতন প্রজন্মের ছেলেরাও এই শিল্পে নিজেদের যুক্ত করতে চাইছে না। ফলে ভরতপুরের ১৮ টি পটুয়া পরিবারে নুতন পটুয়া উঠে আসার ক্ষেত্রে ভাটা পড়ছে। এই অবস্থায়, কিভাবে রান্না,বান্না, ঘর কন্নার করার পর অবসরে এই পট এঁকে দু পয়সা রোজগার করতে পারবেন এই গ্রামের বৌয়েরা তা হাতে,কলমে শিখিয়ে দিচ্ছেন সংহিতা দেবী। তিনি নিজেও স্বামী,সন্তান ও ঘর সামলে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সমান তালে। একেবারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে।তার হায় ধরেই ভরতপুরের পট বাঁচাতে তুলি ধরেছেন এখানকার প্রমীলা বাহিনী। আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জেলার এই নারীদের অনবদ্য ভূমিকার জন্য আমরা তাদের ও সংহিতা দেবীকে বেছে নিয়েছি কুর্নিশ জানানোর জন্য।
সেই সাথে কেও যদি বাঁকুড়ার এই মহিলা পটুয়াদের বিপনন বা প্রশিক্ষণ বা আর্থিক ভাবে সহায়তার জন্য এগিয়ে আসেন সেই আবেদনও রইল সকলের প্রতি।
#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed]