ভাইয়ের ভেসে যাওয়া সাইকেল নদী থেকে তুলতে গিয়ে জলে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু দাদার,মেজিয়ার কাদাঘাটির ঘটনা।

Update: 2021-06-27 14:55 GMT

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : আর পাঁচটা দিনের মতোই নদী পেরিয়ে দুর্লভপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে কাজে গিয়েছিলেন মেজিয়ার কানসাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে কানসাড়া গ্রাম থেকে দুর্লভপুর যাওয়ার পথে কাদাঘাটি জোড়ের ওপর সেতু ভেঙ্গে পড়ে আছে। প্রায় তিন বছর পর নির্মানের কাজ শুরু হলেও তা শেষ হয়নি।


 অগ্যতা,গ্রামের মানুষ নদী পেরিয়েই যাতায়াত করেন। নদীর জল ঠেলে এদিন একহাতে সাইকেল ধরে মাঝনদী পেরিয়ে বাড়ী ফিরছিলেন ফাল্গুনী বাবু৷ আচমকা জলের তোড়ে ভেসে যায় সাইকেলটি। তবে কোনক্রমে নিজে বেঁচে বাড়ী ফেরেন। এবং বাড়ীতে ঘটনা বলা মাত্র, তার তলিয়ে যাওয়া সাইকেলের তল্লাশিতে নদীতে নেমে পড়েন তার দাদা অশোক চট্টোপাধ্যায়।

 সেই সময় বেসামাল হয়ে গভীর জলে পড়ে যান তিনি। এরপর আর তার খোঁজ মেলেনি। স্থানীয়রা সাথে,সাথে খবর দেন মেজিয়া থানায়।উদ্ধারের জন্য বাঁকুড়া সদর থেকে ঘটনাস্থলে পোঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের টিম। প্রায় তিন ঘন্টা তল্লাশির পর তারা আশোক বাবুর নিথর দেহ উদ্ধার করে।প্রসঙ্গত,প্রায় তিন বছর সেতু ভেঙ্গে বেহাল অবস্থা হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নদী পারাপার চলছে দামোদরের এই শাখা নদী দিয়ে। চলতি বছরে সেতু তৈরীর কাজ শুরু হলেও তা আজও শেষ হয়নি। ফলে ঝুঁকির পারাপারে আর কজনের প্রাণ যায়! সেই আশঙ্কায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। এখন দেখার সেতু তৈরীর কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পারাপারের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অস্থায়ী বাঁশ বা কাঠের সেতু করে সমস্যা মেটাতে স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নেয় কিনা?

এমন দাবী তুলেছেন গ্রামের বাসিন্দারাও।পাশাপাশি থমকে থাকা নুতন সেতু তৈরীর কাজেও গতি আনার দাবীতে সরব হয়েছেন তারা। 

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇

Full View


Tags:    

Similar News