বারিকুলে হোমগার্ডকে খুন করে মাও কায়দায় পোস্টার! এলাকায় চাঞ্চল্য, খুন হওয়া হোমগার্ডও ছিলেন প্রাক্তন মাওবাদী,আটক ২।

Update: 2021-06-07 14:54 GMT

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : মুল স্রোতে ফেরা এক প্রাক্তন মাওবাদী হোমগার্ডকে খুন করে মাওবাদীদের কায়দায় পোস্টার ছড়িয়ে দিয়ে খুনের কারণ বাতলে দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল জেলার বারিকুল থানার শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের ন্যাকড়াপচা গ্রামে। খবরের কাগজের ওপর মাওবাদীদের আদলে লাল কালিতে লেখা পোস্টারে এই খুন হওয়া হোমগার্ড সিদ্ধার্থ পালের ডাক নাম লাল্টু লিখে তার ওপর লাল ক্রস চিহ্ণ এঁকে তার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা, প্রতারণা করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বাস করা,নাবালিকা অপহরণ, বিচ্ছেদের পর বিয়ে করা এমন নানা অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে। এবং এই সব অনৈতিক কান্ডে যুক্ত থাকার দায়েই তাকে এই মৃত্যুর শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে ওই পোস্টার গুলিতে। তবে কোন পোস্টারেই মাওবাদী বলে উল্লেখ নেই। বরং কয়েকটিতে "আমরা সবাই"- বলে উল্লেখ আছে।

এই পোস্টারের সাথে খুনের কতখানি যোগসূত্র আছে? না,খুনী ঘটনার মোড় ঘোরাতেই এই সাজানো পোস্টার ফেলার কৌশল নিয়েছে? না, মাওবাদীদের কোন একটা অংশ পুরানো হিসেব মেটাতেই সিদ্ধার্থ কে সরিয়ে দিল? এসব নানা জল্পনা চলছে এলাকায়।আর সেই সব সুত্র ধরে তদন্তেও নেমেছে পুলিশ।প্রসঙ্গত,একসময় মাওবাদী লিংকম্যান হিসেবে পরিচিত ছিল সিদ্ধার্থ ওরফে লাল্টু।


 এরপর মাও স্কোয়াডের সাথে যোগাযোগ গড়ে ওঠায় পুলিশের খাতায় মাওবাদী হিসেবেই নাম ওঠে বারিকুলের ন্যাকড়াপচা গ্রামের যুবক সিদ্ধার্থ পালের। এমনকি তাকে জেলেও যেতে হয়েছিল।পরে মাওবাদ ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফেরার পর সরকার তাকে পুলিশের হোমগার্ডের চাকরি দেয়।

ডাকাবুকো স্বভাবের সিদ্ধার্থ ওরফে লাল্টু হোমগার্ডে চাকরি পাওয়ার পর গ্রামে দাপিয়ে বেড়ানোর পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা,ব্যাভিচার ও নানা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছিল সে। এমন অভিযোগ গ্রামবাসীদের। পাশাপাশি,গ্রামের এক গৃহবধূর সাথে অবৈধ সম্পর্কও গড়ে ওঠে সুদর্শণ সিদ্ধার্থের। আবশেষে, এই সব কাণ্ডের জেরেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ।


 যদিও পুলিশের দাবী, পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন করা হয়েছে তাকে। এদিকে,গ্রামের তার বাড়ীতে কাওকে পাওয়া যায়নি। দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। ফলে পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায় নি। মুখ খুলেননি গ্রামের বাসিন্দারাও। বারিকুল থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

তবে পুলিশের প্রাথমিক দাবী মাথার পিছন দিকে ভারি কিছুর আঘাত দিয়ে খুন করা হয়েছে৷ আঘাতের চিহ্ণও মিলেছে। তবে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে খুনের ধরণ স্পষ্ট হয়ে যাবে। এদিকে,ঘটনার তদন্তে নেমে বারিকুল থানার পুলিশ মৃতের এক নিকট আত্মীয় সহ দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇

Full View


Tags:    

Similar News