‘আর চাপ নিতে পারছি না, বিদায়’! সুইসাইড নোট লিখে রানীবাঁধে আত্মঘাতী বিএলও,বিজেপি নেতারা রানীবাঁধে এলে গাছে বেঁধে রাখার নিদান মন্ত্রীর।
এলাকার বিধায়ক এবং রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি হারাধন বাবুর মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায় চাপিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের ওপর। পাশাপাশি, তিনি বলেন, এই ঘটনার পর বিজেপির নেতারা জঙ্গলমহলের রানীবাঁধ বিধানসভায় এলে, তাদের একে,একে গাছে বেঁধে রেখে প্রতিবাদ করা হবে।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : ফের এসআইআরের কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে প্রাণ গেল এক বিএলওর। এই নিয়ে রাজ্যে পাঁচ বিএলও -র মৃত্যু হল। বাঁকুড়া জেলার রানিবাঁধ বিধানসভার রাজাকাটা এলাকার মাঝপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০৬ নাম্বার বুথের বিএলও তথা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হারাধন মন্ডল (৫৩) এর মৃতদেহ স্কুলের ক্লাস রুম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। সাথে পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে। নোটে হারাধন বাবু লিখেছেন কাজের চাপেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি সুইসাইড নোটে লিখেছেন- ‘‘আমি আর চাপ নিতে পারছি না। বিদায়।’’ ঠিক এর পরের লাইনে হারাধন বাবু লেখেন, ‘‘এই বিএলও কাজের জন্য আমিই দায়ী। এর সঙ্গে কারও যোগাযোগ নেই। ভুল আমার।’’ তার পরের লাইনে তিনি নিজের পুত্রের কথাও উল্লেখ করেছেন।
এবং নোটে তিনি স্পষ্ট দাবি করেছেন, তাঁর পুত্রকে তিনি কোনও কাজ করতে দেননি। সব কাজ নিজেই করেছেন। এমনকি তিনি লেখেন,‘‘আমি কাউকেই বিশ্বাস করি নাই। সব ঠিক করেও ভুল করলাম। ক্ষমা কর আমাকে। ’’পাশাপাশি, হারাধন বাবুর স্ত্রী মায়া মন্ডল,ছেলে সোহম মন্ডল সহ পুরো পরিবার, হারাধন বাবুর এই অকাল প্রয়াণের জন্য এসআইআরের কাজের চাপকে দায়ী করে, নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্র সরকারকে একহাত নিয়েছেন।অন্যদিকে,এই এলাকার বিধায়ক এবং রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি হারাধন বাবুর মৃত্যুর জন্য সরাসরি দায় চাপিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের ওপর। পাশাপাশি, তিনি বলেন, এই ঘটনার পর বিজেপির নেতারা জঙ্গলমহলের রানীবাঁধ বিধানসভায় এলে, তাদের একে,একে গাছে বেঁধে রেখে প্রতিবাদ করা হবে।
তিনি দাবি করেন, অতিরিক্ত কাজের চাপেই হারাধন বাবুকে হারালেন তার পরিবার। প্রসঙ্গত,শুনানিতে ডাক পড়া ভোটারদের নথিপত্র জোগাড়ের নাম করে রবিবার বেলা ১০ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন হারাধন বাবু।পরে, তার খোঁজে পরিবারের লোকজন স্কুলে গেলে, দেখেন একটি ক্লাস রুমের সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন হারাধন বাবু। সাথে,সাথে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রানীবাঁধ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তে পাঠায়। একইসাথে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে, এই মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানীবাঁধ থানার পুলিশ।
👁️🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇