জেলার জঙ্গল মহলে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে বাঘাতঙ্ক,পাগমার্ক (Pugmark) পরীক্ষা বনদপ্তরের।
পাগমার্ক বাঘের বলে বনদপ্তর নিশ্চিত করলে,বাঁকুড়া- পশ্চিম মেদিনীপুর - ঝাড়গ্রাম - পুরুলিয়া জুড়ে বাঘের যাতায়াতের কড়িডর যে রয়েছে, তা ফের আরও একবার প্রমাণিত হবে, তা বলাই বাহুল্য।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : (সঞ্জয় ঘটক,সিমলাপাল)
বাঁকুড়া জেলার জঙ্গলমহলের সিমলাপাল ব্লকের রায়বাঁধ গ্রামে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে ছড়াল বাঘাতঙ্ক! গ্রামের আলু জমিতে আকারে বড়োসড়ো 'পাগমার্ক'- নজরে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমনকি গ্রামবাসীরা দাবি করছেন,বাঘ বাহাদুরের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ হলে,বাঘ তর্জন,গর্জনও করতে থাকে। একজন নয়,কয়েকজনই বাঘের সাক্ষাৎ পেয়েছেন বলে দাবিও করেছেন। সারা গ্রামে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। খবর যায় বনদপ্তরে। এরপর, দুুবজপুর বিটের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পায়ের ছাপ পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি নমুনাও সংগ্রহ করে নিয়ে যান৷ পাশাপাশি, ছবিও তোলা হয় একাধিক ছাপের।এগুলি পরীক্ষা,নিরীক্ষার পর বনদপ্তর নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারবে,এই পাগমার্ক আসলে কোন জন্তুর।
তবে,এই পাগমার্ক আকারে বড়ো। তাই চিতা বা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের হলেও হতে পারে? এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়ার নয়।প্রসঙ্গত, এর আগেও জেলার জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সারেঙ্গার বড়দি ও রানিবাঁধের বাগডুবি গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছিল, যা থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। এবং রানিবাঁধের হলুদকানালীর চুড়াপাথরের কাছেও বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে সিমলাপাল থানার পিঠাবাঁকড়া জঙ্গলে বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছিল, এবং এই পাগমার্ক বাঘের বলে দাবি করে এলাকায় বাঘের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছিল বনদপ্তর। চালানো হয়েছিল বিশেষ নজরদারিও।
বনদপ্তরের দাবি প্রায়শই পুরুলিয়া বা ঝাড়গ্রাম থেকে বাঘ বাঁকুড়ায় চলে আসে, যেমনটা 'জীনাত' নামের বাঘটির ক্ষেত্রে হয়েছিল। তাই একই ভাবে এবারও পাগমার্ক বাঘের বলে বনদপ্তর নিশ্চিত করলে,বাঁকুড়া- পশ্চিম মেদিনীপুর - ঝাড়গ্রাম - পুরুলিয়া জুড়ে বাঘের যাতায়াতের কড়িডর যে রয়েছে, তা ফের আরও একবার প্রমাণিত হবে, তা বলাই বাহুল্য।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও 👇