চলন্ত বাসে স্ত্রীর প্রেমিকের গলায় ছুরির কোপ মেরে ফেরার যুবক,গ্রেপ্তার যুবকের মা ও দিদি।

Update: 2024-03-22 01:50 GMT

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : চলন্ত বাসে স্ত্রীর প্রেমিকের গলায় ছুরির কোপ মেরে ফেরার যুবক।প্রেমিককে স্বামীর হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন স্ত্রীও। দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় সোজা বাসে চাপিয়ে বাঁকুড়া সদর থানায় উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন বাসের চালক।খবর পেয়ে পথে পুলিশের গাড়ীও পৌঁছে যায় বাসটির কাছে।এবং ওই বাসে করেই পুলিশ আহতদের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে।মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে কেরানীবাঁধ এলাকায় মল্লার কাছে ৬০ নাম্বার জাতীয় সড়কের ওপর।বনলতা নামে দুর্গাপুরগামী একটি বাসে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে শহর জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

তবে অভিযুক্ত যুবক সৌরভ সিংহবাবু ছুরি মেরেই বাস থেকে নেমে গা ঢাকা দেয়।পুলিশের অনুমান স্ত্রীর প্রেমিককে জানে মেরে ফেলতেই সে পরিকল্পনা করে এই হামলা চালায়। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে প্রায় বছর ছয় আগে মালদার হাবিবপুরের বাসিন্দা নমিতার সাথে প্রেম করে বিয়ে হয় জেলার সিমলাপালের অলকাধড়া গ্রামের বাসিন্দা সৌরভ সিং বাবুর।বছর তিন আগে তাদের একটি মেয়েও জন্ম নেয়।হটাৎ গত ২৭ শে ফেব্রুয়ারী নমিতা দেবী তার মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।এবং ময়ুরেশ্বরের বাসিন্দা প্রেমিক শেখ ঔরঙ্গজেবের আশ্রয়ে থাকতে শুরু করেন নমিতা দেবী।

তা টের পেতেই নমিতার শ্বাশুড়ি অর্চনা সিংহ বাবুও ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে সিমলাপাল থানায় তার পুত্রবধূ ও নাতনিকে অপহরনের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মামলা সুত্রে নমিতা তার প্রেমিককে সাথে নিয়ে খাতড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসে।এরপর নমিতা ও তার প্রেমিককে অনুসরন করেতে শুরু করে স্বামী সৌরভ।এবং সুযোগ বুঝে চলন্ত বাসের মধ্যেই স্ত্রীর প্রেমিকের গলায় ছুরির কোপ মেরে খুনের চেষ্টা চালায়। সেই সময় স্বামীকে আটকাতে গিয়ে আহত হন নমিতা দেবীও।এদিকে,বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ ঘটবার পরই সৌরভের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।তবে তাকে এখনও ধরা যায় নি বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে, সিমলাপাল থানার পুলিশ সৌরভের মা অর্থাৎ নমিতা দেবীর শাশুড়ী অর্চনা সিংহ বাবু এবং দিদি সাগরিকা সিংহ বাবুকে গ্রেপ্তার করে বুধবার খাতড়া আদালতে তুললে বিচারক দুজনকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।উল্লেখ্য,নমিতা দেবীকে অপহরন করা হয়েছে এই অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আদালতে হাজির করলে নমিতা দেবী জানান তিনি স্বামীর সাথে থাকতে চাননা।স্বেচ্ছায় তিনি শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের সাথে গিয়েছেন এটি অপহরনের ঘটনা নয়।তারপর নমিতা দেবী ছাড়া পান।কিন্তু মামলা আদালতে বিচারাহীন থাকায় নমিতা দেবী খাতড়া মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসেন।

আর তার পরই ঘটে এই বিপত্তি।এদিকে,আহত দুই জনেরই অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সুত্রে  জানানো হয়েছে।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇

Full View


Tags:    

Similar News